রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চার নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে অবরোধ চলছে। অবরোধের কারণে সোমবার সকাল আন্তঃজেলা ও জেলার অভ্যন্তরীণ উপজেলাগুলোর মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এর আগে রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসগুলো সকাল ছয়টার আগে পুলিশের পাহারায় শহরে প্রবেশ করে।
ইউপিডিএফের সমর্থকরা গত রাতে শহরের বাইরে বিভিন্ন সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আইনশৃংখলা রক্ষায় শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা সমকালকে জানিয়েছেন, নেতাকমীদের হত্যা, গণতান্ত্রিক দল হিসেবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা প্রদান, মামলা হয়রানির প্রতিবাদে আজকের অবরোধ।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর হাসান বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
গত সোমবার পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের অনিল পাড়ায় এক বাড়িতে দুবৃর্ত্তদের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রহিন বিকাশ ত্রিপুরা। এ ঘটনায় নিহত বিপুল চাকমার চাচা নিরুপম চাকমা বাদী হয়ে গত বুধবার পানছড়ি থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করলেও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অমর চাকমা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পরে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মাসব্যাপী বাজার বয়কট কর্মসূচি, ধর্মঘট ও সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেয়। গতকাল রোববার পানছড়ি উপজেলায় দিনব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ইউপিডিএফের নেতাকর্মীরা। গত শুক্রবার থেকে মাসব্যাপী পানছড়ি বাজার বয়কট কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে ২০১৮ সালেও পানছড়ি বাজার বয়কট করেছিল আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ‘ইউপিডিএফ’।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার জেলায় সড়ক অবরোধ চলছে।